সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকার করতে গিয়ে ২টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২৯ জেলের মধ্যে একটি ট্রলারসহ ২ জন জীবিত ও ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।জীবিতরা হলেন, মনির মাঝি (৩০) ও মোঃ জুয়েল (৩০)। এছাড়াও ৬টি মৃতদেহের নাম এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান চরফ্যাশন থানার ওসি মোঃ সামছুল আরেফিন।
তিনি জানান, গত ৬ জুলাই শনিবার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের মনির মাঝির ট্রলারে তার নেতৃত্বে ১৫ জন ও আহমেদপুর ইউনিয়নের ফরিবাদ গ্রামের শাজাহান মাঝির ট্রলারে তার নেতৃত্বে ১৪জন জেলে পৃথক পৃথকভাবে তারা ঢালচরের গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করার করছিল। ওই দিন ভোরে ১৪ জন জেলেসহ শাজাহান মাঝির ট্রলার ও সকালে ১৫ জন জেলেসহ মনির মাঝির ট্রলার ডুবির ঘটনা জানতে পারি। এ ঘটনায় ২৯ জন জেলে নিখোঁজ হয়।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়রা নিখোঁজ জেলের খোঁজে নদী ও সাগরে নেমে পরে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পাননি তারা। পরে আজ বুধবার ভোরে ও সকালে কক্সবাজারের সৈকতের সিগাল পয়েন্ট থেকে চার জন ও ট্রলারের ভিতর থেকে দুই জনসহ মোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এবং ওই ট্রলারের মালিক মনির মাঝি ও জেলে মোঃ জুয়েলকে জীবিত অবস্থায় কক্সবাজারের শৈবাল পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থা রয়েছে।
এদিকে মনির মাঝির নেতৃত্বে মাছ মিকার করতে যাওয়া ১৫ জেলের মধ্যে মনির মাঝিসহ ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত। এরা হলেন, মোঃ মনির মাঝি (৩০), মোঃ জুয়েল (৩০) জিহাদ হোসেন (২৫), মাকসুদ (২৮), সেলিম (৩২), বাবুল (৩৫), অলিউদ্দিন (২৭), বেলায়েত হোসেন (৩১), অজিউল্লা (২৭), কামাল (২৬), জাহাঙ্গির (৩৪) এবং তছির (৩৩)।
এদিকে সামরাজ ঘাটের মৎস ব্যাবসায়ী ওয়াজেদ মিয়া জানায়, আমরা ইতিমধ্যে নিহতদের চিিহœত ও আহতদের চিকিৎসা জন্য আমরা ইতিমধ্যে কক্সবাজারের রওয়ানা দিছি। সকাল নাগাত পৌছালে তারপর বুঝতে পারবো নিহতরা কি আমাদের জেলে কিনা।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, জীবিতদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কার কার মৃত দেহ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে এখন নিশ্চিত হয়নি। আমরা ওই ট্রলারের ১৫ জন জেলেদের ছবি সংগ্রহ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেটি কক্সবাজারে পাঠালে তখননি নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের নাম।তিনি আরো জানান, আহমেদপুর ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের শাজাহান মাঝির নেতৃত্বে যাওয়া ১৪ জেলের সন্ধান এখন চলছে। কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ-বাহিনীসহ স্থানীয় জেলেরা নদী ও সাগরে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply